শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প- এর ব্যবস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও স্বনির্ভরতা অর্জনে ২১২ জনকে ব্যবসায় পুঁজি সহায়তা প্রদান করা হয় ৭৯ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।

দিন মজুর থেকে দোকানের মালিক
শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প -এর উদ্যোগে বেকার , পুঁজিহীন, কর্মক্ষম উদ্যোগী ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা উত্তরণে সহায়তা প্রদান কর্মসুচির অংশ হিসাবে- মোহাম্মদ দুলাল মিয়া ( পিতাঃ মোহাম্মদ আনোয়ার আলী, মাতাঃ রাবেয়া আক্তার, দক্ষিণ সুলতান সি. হবিগঞ্জ)’ কে দোকানের পূঁজি সহায়তা প্রদান করা হয়।
কথা হয় সহায়তা গ্রহণকারী দুলাল মিয়া’র সাথে। তিনি বলেন, পেশায় আমি ছিলাম একজন দিনমজুর। চার মেয়ে- এক ছেলে, স্ত্রী, মা-বাবা নিয়ে নয় জনের সংসার। পরিবারে আমিই উপার্জনকারী একমাত্র ব্যক্তি। কাজ পেলে খাওয়ন জুটত, না হলে উপুষ থাকতে হত। কান্না বিজড়িত কন্ঠে দুলাল বলেন, ঈদের চাঁদ দেখেছি কিন্তু নতুন জামা- কাপড় পরতে পারিনি। ঈদ আসলে পাড়ার ছোট ছোট শিশু- কিশোর নতুন জামা-কাপড় পড়ত, আমার সন্তানেরা বলত, বাবা আমাদের নতুন জামা কখন আসবে, কখন নতুন জামা পড়ব ? সন্তানদের এই প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা ছিলনা। তাদের সব প্রশ্নের উত্তর চোখের জল হয়ে নেমে আসত। অসুস্থ মা’য়ের চিকিৎসা খরচ, পরিবারের জন্য একটা ভাল কাপড় ক্রয় করে দেওয়া সবকিছু ছিল সাধ্যের বাহিরে।
আমার এই দুর্বিসহ জীবনের কথা লিখিত ভাবে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, সুলতান সি শাখার মাধ্যমে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট অফিসে প্রেরণ করি। ট্রাস্ট কতৃপক্ষ আমাকে ডেকে এনে ৪০,০০০ টাকা সহায়তা হিসাবে প্রদান করেন। এবং বলেন এই টাকা ফেরত দিতে হবে না তবে কাজে লাগাতে হবে।
জীবনে কখনো এত টাকা এক সাথে হাতে নিয়েছি বলে মনে হয় না । সব হাজারী নোট।
সহায়তার টাকা পেয়ে হবিগঞ্জে গিয়ে ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান খুলি। দোকানে ফুচকা, জাল নাস্তা ও বিরাণী বিক্রি শুরু করি। ছয় মাসের মধ্যে আরো একটা দোকান দিই। খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ১৫০০ টাকা আমার রোজগার হয়। আমি এখন দু’টি দোকানের মালিক। ছেলে-মেয়েরাও স্কুলে যায়। হাসতে হাসতে বলেন, এখন ঈদের সময় সবাইকে নিয়ে মার্কেটিং করি হা হা হা হা …..

নাম- মীর মোরশেদ আহমদ,পিতা- মীর রফিকআহমদ, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চট্টগ্রাম মহানগর। প্রকল্প- দোকানে পূঁজি
প্রদানকৃত অর্থ- ২০,০০০ টাকা
বিবরণ- প্রকল্প গ্রহণকারী জানান- তিনি ২০,০০০/= টাকা যাকাত তহবিল থেকে সহায়তা হিসাবে পেয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার মরিয়ম বসির মার্কেটে এস.এ. ফ্যাশন নামের তৈরি পোশাকের একটি দোকান দেখতে পায়। প্রকল্প গ্রহণকারী জানান, নতুন করে দোকানে পূঁজি দিতে পেরে কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। অল্প কিছু ঋণ আছে পরিশোধ করতে পারলে আর কোন সমস্যা থাকবেনা। আল্লাহর রহমতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল আছি।
মোহাম্মদ বাদশা
পিতা- মরহুম বজল আহমদ
হামিদচর শাখা, চট্টগ্রাম মহানগর।
প্রকল্প- ফার্নিসার এর দোকান
প্রদানকৃত অর্থ- ৩০,০০০ টাকা
বিবরণ- প্রকল্প গ্রহণকারী জানান- তিনি ৩০,০০০ টাকা যাকাত তহবিল হতে সহায়তা হিসাবে পেয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে প্রকল্প গ্রহণকারীর একটি ফার্নিসার তৈরির দোকান দেখতে পায়। সহায়তার টাকা দিয়ে তিনি কাঠ ক্রয় করে বিভিন্ন রকমের আসবাবপত্র তৈরী করেছেন, আগের চেয়ে রোজগার ভালবলে প্রকল্প গ্রহণকারীর জানান।


মোহাম্মদ কদম আলী, পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ নুর ইসলাম, গ্রামঃ ভান্ডারো, ভুলতা, নারায়নগঞ্জ।


মোহাম্মদ নুরুল আমিন দুলু, পিতাঃ মৃত আবুল কালাম, জিন্নাত আলী তালুকদার বাড়ী, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম।





