

অসহায় রোগীদের মাথার উপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট
Facebook চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের ২৬ নং ওয়ার্ড- হাত,পা ও হাঁড়ভাঙ্গা রোগীদের গগনভেদী আহাজারিতে ব্যাথাতুর এক পরিবেশ। বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার মানুষেরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পেতে জড়ো হন এখানে। এদের অনেকেই অপারেশনের নির্দিষ্ট তারিখে অর্থের অভাবে সময়মতো অপারেশন করাতে সক্ষম নন। অপারেশন সামগ্রীর উচ্চমূল্য আর অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে তাই তারা মাসের পর মাস হাসপাতালের বেডে কাটিয়ে দেন। এমতাবস্থায় শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট তাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ব্যবস্থাপনায় গত ০৬ মে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াস্থ উত্তর ঘাটচেকের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহকে অপারেশন সামগ্রী ক্রয়ে সহায়তা করা হয়। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক। গত তিন মাস আগে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ যাবৎ চিকিৎসার খরচ বহন করতে তিনি প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন।
আব্দুল্লাহর মতো এরকম আরো অসংখ্য অসহায় রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছে অত্র (ZWF) ফান্ড। কক্সবাজারস্থ পেকুয়ার ইবতেদায়ী মাদ্রাসার দরিদ্র শিক্ষক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সন্দীপস্থ দরিদ্র গৃহিণি জিয়াধন বেগম, রাঙ্গুনিয়ার ছোট্ট শিশু আরিফ ও তামিমসহ আরো অনেকে অত্র ফান্ডের এই সেবার আওতাভুক্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া এসব মানুষেরা যখন দুঃসময়ে আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা ভিক্ষাবৃত্তি করে অন্যের নিকট হাত পাতে ঠিক সেসময় প্রয়েজনীয় ঔষধ ও অপারেশনসামগ্রী নিয়ে পাশ দাঁড়িয়ে মানবতার হাত প্রসারিত করেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড নিবাসী মো. আলমগীর (৩৫)। চায়ের দোকান করে স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে সুখেই দিনাতিপাত করছেন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে কিছুদিন আগে অল্প জমি নিয়ে ঘরও নির্মাণ করেন। কিন্তু তার আর্থিক স্বচ্ছলতা পার্শ্ববর্তী কিছু মানুষের হিংসার কারণ হয়ে ডাকাতির শিকার হন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল ডাকাত তার বাড়ি আক্রমণ করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে ভীষণ মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। পরদিন চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়ে এ যাবৎ চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে নানান ধারদেনায় জড়িয়ে পড়েন। নিরুপায় হয়ে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ডের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোবায়েত হাসানের মাধ্যমে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। গতকাল তার পায়ে রড প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। আর তার এই অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করেন ফান্ড কর্তৃপক্ষ। অপারেশন পরবর্তী তার পরিবার ট্রাস্ট ও ফান্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের ২৬ নং ওয়ার্ডে একজন দুস্থ রোগী মেজর অপারেশনের অপেক্ষায় আছেন বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক #যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ডে অবহিত করেন। রোগীর সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার চাওয়া হলে মোবাইলের মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সম্বলটুকু ওই রোগীর নেই বলে জানান। পরে রোগীর ভাই আব্দুল আজিজ আসলে তার সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানতে পারি। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায়। গত ৩১ মে তার বড় ভাই মো. আব্দুল মালেক গাছ কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনায় তার বুকের পাঁজর ও হাত ভেঙ্গে যায়। সময়মতো প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়ায় আল্লাহ্ রহমতে কিছুটা সুস্থ হন। বর্তমানে তার হাতের একটা মেজর অপারেশন প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দিনমজুর আব্দুল মালেকের নিকট অর্থ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ যাবৎ বহু রোগীর পাশে যেভাবে আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো যাকাত ফান্ড ঠিক সেভাবে তার প্রয়োজনীয় সকল #অপারেশন সামগ্রী জোগাড় করে দিয়েছে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানটি। দুঃসময়ে এমন সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত হয়ে পড়েন রোগীর স্বজন।