অসহায় মানুষদের পাশে সহায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট
সুমি আক্তার (১৯), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন গৃহিণি। পিতৃহীন কন্যা বলে অল্প বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। ২ বছর আগে বিয়ে হলেও স্বামীর উদাসীনতার জন্য এক কন্যা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। মায়ের সংসারেও অভাব নিত্যসঙ্গী। তার মা তার আরো দুই ভাই বোন নিয়ে থাকেন। পারিবারে আয়ের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে তার মা । মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে যে টাকা পায় তা দিয়ে কোনোভাবে তাদের সংসার চলে। গত দুইমাস আগে সুমি নিজ ঘরের কাজ করতে গিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ফেলেন । মাটির ঘরের দেওয়াল চুপসে তার ক্ষুদ্র শরীরের উপর পড়ায় এমন দুর্ঘটনার শিকার হন। পা ভাঙ্গা নিয়ে তিনি দেড় মাস যাবত চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে আগেও একবার অপারেশন হয়। তার আর্থিক অবস্থা এতটা শোচনীয় যে চিকিৎসা এবং ঔষধের খরচ চালাতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। বিগত দেড় মাস বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় চিকিৎসা ও ঔষধ খরচ চালান।বর্তমানে তিনি খরচ চালাতে নিরুপায় এবং আরো একটি অপারেশন করতে হবে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের মাধ্যমে তিনি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভারী (ক:) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তার অপারেশনের সামগ্রিক ভার যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড কর্তৃপক্ষ বহন করে।বর্তমানে তার অপারেশন সফল হলে তিনি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক) ট্রাস্টের নাম শুনে কৃতজ্ঞতায় আবেগান্বিত হয়ে পড়েন এবং যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান

