শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প এর ব্যবস্থাপনায় স্বনির্ভরতা অর্জনে ৬ জনকে ভ্যান গাড়ি ক্রয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।


মোহাম্মদ আবদুর জব্বার-এর বড় ছেলে মোহাম্মদ শাহাজাহান, মা-মনোয়ারা বেগম, গ্রামঃ হারং, মাষ্টার বাড়ী, চান্দিনা পৌরসভা, কুমিল্লা। মা-বাবা, দুই বোন, দুই মেয়ে-এক ছেলে, স্ত্রী সহ নয় জনের সংসার। সংসারে বড় ছেলে তাই দায়িত্বও অনেক। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের সহায়তায় তিনি এখন ম্বাবলন্বী।
এ প্রতিবেদকের কথা হয় শাহাজাহানের সাথে, তিনি বলেন,বড় মেয়েটা সুলতানা আকতার লেখা-পড়া করার খুবই আগ্রহ। স্কুলের মাষ্টার কইছে তাঁর স্মরণশক্তি ভালা। যেখানে দু’বেলা খাওয়ন জুটেনা সেখানে মেয়েটারে কেমনে স্কুলে পাঠাই বলেন! আমার নিদিষ্ট কোন কাজ নাই । যখন যা পাই করি, কোন রকম খাইতে পারলে হয় এর বাহিরে বেশি কিছু চিন্তা করার সুযোগ- সার্মথ্য যে আমার নাই। দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে মনের গভীর থেকে বলেন-সবই আল্লাহর ইচ্ছা। কিন্ত শাহাজাহনের মেয়ে এখন লেখা- পড়া করে, ঘরেও কোন অভাব নাই।
তিনি জানান, গত বছরের প্রথম দিকে আমার অভাব- অনটনের কথা শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প কর্মকর্তাদের লিখিত ভাবে জানালে ওনারা আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা সহায়তা হিসাবে দেয়। সহায়তার এই টাকা দিয়া ব্যাটারি চালিত একটা ভ্যান গাড়ি ক্রয় করি। ভ্যান গাড়ি চালাইয়া প্রতিমাসে ১০/১২ হাজার টাকা রোজগার করি। শাহাজাহান বলেন, আমার মেয়েটারে হারং উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করাইছি। খুবই উচ্ছসিত হয়ে বলেন,“ মেয়েটারে ডাক্তার বনাইতে চাই”। শাহাজাহান মুচকি হাসি দিয়ে বলেন, আল্লাহ্ রহমতে আগের চেয়ে অনেক ভাল আছি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমি ভাড়ায় ভ্যান গাড়ী চালাইতাম। বেকার ২ ছেলে, ২ মেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী মোট ছয় জনের সংসার। ফিরোজশাহ বিশ্ব কলোনিতে এক কক্ষ বিশিষ্ট বেড়ার ঘরে গাদাগাদি করে থাকতাম। দিন যায় দিন আসে কিন্তু অসহনীয় এই কষ্টের যেন শেষ হয় না।আমার দুর্বিষহ জীবন যাপন দেখে আর্থিক সহায়তা চেয়ে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, ইস্পাহানী সি.গেইট শাখার পক্ষ থেকে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট বরাবর আবেদন করেন।আবেদন পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ আমার কাজের কোন অভিজ্ঞতা আছে কি না জানতে চান।আমি তাদেরকে ভ্যান গাড়ী চালায় জানালে, একটি গাড়ী ও কাঁচা সবজি ব্যবসার জন্য আর্থিক সহায়তা করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে।এ পর্যন্ত ভ্যান গাড়ীতে কাঁচা সবজি বিক্রি করে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা রোজগার করি। আমার বড় ছেলে গার্মেন্টস ও মেঝ ছেলে ইস্পাহানীতে ভাল বেতনে চাকুরি করে। মেয়ে ২ জনকেও বিবাহ দিয়েছি।এখন আমরা ৩ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরে থাকি। আল্লাহর রহমতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল আছি।সাফল্য গাঁথা কথা গুলো বলছিলেন- নগরীর ইস্পাহানী সি. গেইট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ( পিতা: আবদুল মজিদ, মালীপাড়া, ফিরোজ শাহ, আকবর শাহ, চট্টগ্রাম)এ রকম অসংখ্য ইকবাল হোসেন‘কে স্বনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট…



