বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ক্রমশ বিকশিত হয়েছে সকল বাধা-বিপত্তিকে পেছনে ফেলে । অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও সামাজিক সেবা-সূচকে এদেশের অবদান বিশ্বের নজর কেঁড়েছে। নারী-পুরুষের সমন্বিত অর্থনৈতিক শক্তি ও সৃজনশীলতার এদেশ দাঁড়াচ্ছে আপন সামর্থ্যরে উপর। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট এদেশের নারীদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি নারীদের স্বনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছে এবং প্রদর্শিত পথ ধরে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়ে চলছে।
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প এর ব্যবস্থাপনায় স্বনির্ভরতা অর্জনে সেলাই কাজে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করছেন।

পটিয়া থানার অন্তর্গত খড়না ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব আলীর স্ত্রী আয়শা আক্তার। দারিদ্রতার কারণে দুঃখ-কষ্টের সংসার ছিল তার। তবে সেই কষ্ট এখন অনেকটা লাঘব হয়েছে। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট থেকে পাওয়া সেলাই মেশিন দিয়ে তিনি এখন নিয়মিত উপার্জন করে চলেছে। এই টাকা দিয়েই তার দুই মেয়ের পড়ালেখার খরচ যোগানোর পাশাপাশি স্বামীকেও সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন আয়শা।
তিনি জানান, তিনি পটিয়া উপজেলার চক্রশালা ২নম্বর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সদস্য। এই কেন্দ্র থেকে তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে ট্রাস্টের পক্ষ থেকেই বিনামূল্যে একটি সেলাই মেশিন পেয়েছেন। এলাকার নারীদের কাছ থেকে কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নিয়ে এই মেশিন দিয়েই সেলাই করে এখন উপার্জন করছেন তিনি। এই টাকা দিয়েই চলছে তার দুই মেয়ের পড়ালেখার খরচ। পাশাপাশি তিনি তার স্বামীকেও সাংসারিক কাজে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। তাকে এভাবে স্বাবলম্বি করে তোলার জন্য তিনি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
শুধু আয়শা আক্তারই নয়, দেশের শত শত নারীদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট। ট্রাস্টের “দক্ষ নারী উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পাইলট প্রকল্প-২) এর অধীনে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদ’ ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বি করতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল-সহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫৯টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মাঝে সেলাই মেশিন ও প্রশিক্ষণ সনদ পত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আর এই মেশিন দিয়েই সেলাই কাজ করে হাজার হাজার নারী স্বাবলম্বি হয়েছেন। এমনকি তারা নিজেরাও গ্রাম পর্যায়ে অন্য নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বি করে তুলছেন।
বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানার অরুয়াইল এলাকার পাকশিমুল গ্রামের উত্তর শাখা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ওই এলাকার উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগম বলেন, সংসারে দারিদ্রতার কারণে খুব কষ্টে দিন কাটছিল আমাদের। আমাদের দারিদ্রতার কথা জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের লোকজন জানার পর গ্রামের অন্যান্য নারীদের মতো আমাকেও তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী হিসেবে মনোনীত করে। সেখানে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিনও পেয়েছি। এই সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করে এখন আমার সংসারে অনেকটা দারিদ্রতা দূর হয়েছে। আমি নিজেও এখন গ্রামের মেয়েদের কাজ শিখিয়ে বাড়তি উপার্জন করছি। আমার নিজের কেন্দ্রেও এখন ১০ জন নারী কাজ শিখছে।





